প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, এটি ঠিক নয়। সরকার পরিবর্তন হবে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায়। যারা সংসদে আছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আর কেউ যাতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেছেন, মানুষকে সেই খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে, যারা অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে চায় আর নিজেদের ভাগ্য গড়ে তুলতে চায়। গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলে দলীয় স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকার আকাক্সক্ষা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময় অনুষ্ঠিত পাঁচ হাজারের ওপর নির্বাচনের সবই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপে হয়েছে। একটি নির্বাচন নিয়েও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের জনগণের ভোট পাওয়ার মতা নেই, রাজনৈতিক দল গড়েও যারা ব্যর্থ হন কিন্তু মতায় যাওয়ার খায়েশ আছে, তারাই সবসময় অলিগলি খোঁজেন কীভাবে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পথে মতায় যাওয়া যায়। এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য, যখনই তারা কোনো স্বপ্ন দেখে তখনই তাদের ওপর আঘাত আসে। যারা চায়নি এদেশ এগিয়ে যাক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত হোক, তারাই গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি। সংবিধান সংশোধন করে জনগণের মতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি, জনগণকে প্রজাতন্ত্রের মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিয়োগান্তুক ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, একদিনে মা-বাবামহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। তখন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেব। স্বয়ং বাবার কাছ থেকে একটি জিনিস শিখেছি, তা হলো মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা। সে ল্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চারদলীয় জোট সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকে যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে তা একাত্তরকেও হার মানিয়েছে। আমরা চাই না, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে আর সে ধরনের দুর্দশা আর অমানিশার অন্ধকার নেমে আসুক। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে আমি গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি বলে মতায় আসতে দেওয়া হয়নি। সে সময় গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী। আমি জাতির জনকের কন্যা। আমার বাবা এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষের এতটুকু তি হোক, সেটি আমি চাই না। মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন দিতেও পরোয়া করি না।
আমার বাবা যে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, সে দেশের মানুষের জন্য কথা বলব, তার জন্য সাহসের প্রয়োজন হবে কেন? পঁচাত্তর-পরবর্তী বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বৈরী পরিবেশেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। একমাত্র ওপরে আল্লাহ এবং নিচে দেশের জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস নিয়েই রাজনীতি করেছি। জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস আছে বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শেষ করতে পেরেছি। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। এ বিচারও আমরা ইনশাল্লাহ শেষ করতে পারব। বিডিআর বিদ্রোহসহ অন্য সব বিচারও শেষ করা হবে। পঁচাত্তরের খুনিচক্রসহ যুদ্ধাপরাধীদের রায় বিএনপি-জামাত জোট ও সাম্প্রদায়িক চক্রের সম্পৃক্ততা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটু ল্য করে দেখবেন, খুনিদের কারা বাঁচাতে চায়? তাদের চরিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন, অবৈধ মতা দখল করে খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় আর মদদ দেওয়াটাই তাদের কাজ। জাতির জনকের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এদেশ এখন সবক্ষেত্রেই বিশ্বে মডেল ।
ঈদে প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার নিশ্চিত করতে সরকার এক কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম, একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, যুক্তরাষ্ট্র শাখা সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
আমার বাবা যে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, সে দেশের মানুষের জন্য কথা বলব, তার জন্য সাহসের প্রয়োজন হবে কেন? পঁচাত্তর-পরবর্তী বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বৈরী পরিবেশেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। একমাত্র ওপরে আল্লাহ এবং নিচে দেশের জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস নিয়েই রাজনীতি করেছি। জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস আছে বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শেষ করতে পেরেছি। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। এ বিচারও আমরা ইনশাল্লাহ শেষ করতে পারব। বিডিআর বিদ্রোহসহ অন্য সব বিচারও শেষ করা হবে। পঁচাত্তরের খুনিচক্রসহ যুদ্ধাপরাধীদের রায় বিএনপি-জামাত জোট ও সাম্প্রদায়িক চক্রের সম্পৃক্ততা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটু ল্য করে দেখবেন, খুনিদের কারা বাঁচাতে চায়? তাদের চরিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন, অবৈধ মতা দখল করে খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় আর মদদ দেওয়াটাই তাদের কাজ। জাতির জনকের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এদেশ এখন সবক্ষেত্রেই বিশ্বে মডেল ।
ঈদে প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার নিশ্চিত করতে সরকার এক কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম, একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, যুক্তরাষ্ট্র শাখা সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।